প্রকল্প সমূহ
আমরা সফলভাবে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সফটওয়্যার তৈরি করেছি।


ইন্টিগ্রেটেড কাস্টমাইজড অ্যাকাউন্টিং: একটি পূর্ণাঙ্গ অটোবিজ ইআরপি সমাধান
অটোবিজ ইর্আরপি (ERP) সিস্টেমের সাথে ইন্টিগ্রেটেড কাস্টমাইজড অ্যাকাউন্টিং বলতে এমন একটি সমন্বিত সমাধানকে বোঝায়, যেখানে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কার্যক্রমে (যেমন: বিক্রয়, ক্রয়, ইনভেন্টরি, মানবসম্পদ, উৎপাদন) ঘটে যাওয়া ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্টিং মডিউলে প্রতিফলিত হয়। এর ফলে ডেটা এন্ট্রি কম হয়, নির্ভুলতা বাড়ে এবং রিয়েল-টাইম আর্থিক তথ্য পাওয়া যায়।
ইআরপি-এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড কাস্টমাইজড অ্যাকাউন্টিং সেবার প্রধান কার্যক্রমগুলো নিম্নরূপ:
১. স্বয়ংক্রিয় ডেটা এন্ট্রি ও রেকর্ডিং (Automated Data Entry & Recording): বিক্রয় ও রসিদ (Sales & Receipts): বিক্রয় আদেশ (Sales Order) তৈরি হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনভয়েস তৈরি হবে এবং অ্যাকাউন্স রিসিভেবল (Accounts Receivable) আপডেট হবে। গ্রাহক পেমেন্ট পেলেই সেটি সরাসরি নগদ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। ক্রয় ও পরিশোধ (Purchases & Payments): ক্রয় আদেশ (Purchase Order) তৈরি হলে ইনভেন্টরি এবং অ্যাকাউন্স পেয়েবল (Accounts Payable) আপডেট হবে। সরবরাহকারীকে পেমেন্ট করলে সেটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্টিংয়ে রেকর্ড হবে। * ইনভেন্টরি মুভমেন্ট (Inventory Movement): পণ্য কেনা, বিক্রি করা, উৎপাদন বা স্থানান্তরের সময় ইনভেন্টরি ভ্যালু এবং কস্ট অফ গুডস সোল্ড (COGS) স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হবে।
২. জেনারেল লেজার ম্যানেজমেন্ট (General Ledger Management): বিভিন্ন মডিউল থেকে আসা সমস্ত লেনদেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে জেনারেল লেজারে পোস্ট করা হবে। চার্ট অফ অ্যাকাউন্টস (Chart of Accounts) কাস্টমাইজ করা যাবে প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুযায়ী। * নির্ভুল ও রিয়েল-টাইম ব্যালেন্স নিশ্চিত করা।
৩. অ্যাকাউন্সস রিসিভেবল (Accounts Receivable - AR): স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনভয়েস তৈরি ও পাঠানো। গ্রাহকদের বকেয়া ট্র্যাক করা এবং বয়স (Aging Report) অনুযায়ী রিপোর্ট তৈরি করা। পেমেন্ট রিমাইন্ডার পাঠানো এবং সংগ্রহ প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করা। গ্রাহক ভিত্তিক ক্রেডিট লিমিট ট্র্যাকিং।
৪. অ্যাকাউন্টস পেয়েবল (Accounts Payable - AP): সরবরাহকারীদের বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড করা। বিল পরিশোধের সময়সূচী (Payment Scheduling) ব্যবস্থাপনা। সরবরাহকারী পেমেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড করা। ক্রয় আদেশ এবং প্রাপ্ত পণ্যের সাথে বিলের মিল যাচাই (3-way matching)।
৫. ব্যাংক রিকনসিলিয়েশন (Bank Reconciliation): ব্যাংক স্টেটমেন্টের সাথে সিস্টেমের ডেটার স্বয়ংক্রিয় মিল করানো। অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেনদেন চিহ্নিত করা এবং সমাধান করা।
৬. সম্পদ ব্যবস্থাপনা (Fixed Asset Management): প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের হিসাব রাখা। অবচয় (Depreciation) স্বয়ংক্রিয়ভাবে গণনা ও রেকর্ড করা। * সম্পদের ক্রয়, বিক্রয় ও নিষ্পত্তির হিসাব রাখা।
৭. বেতন ও মজুরি ব্যবস্থাপনা (Payroll Management) - যদি HRM মডিউলের সাথে ইন্টিগ্রেটেড থাকে: কর্মচারীদের বেতন, ভাতা, ট্যাক্স এবং অন্যান্য কর্তন স্বয়ংক্রিয়ভাবে গণনা ও পরিশোধ করা। বেতন সংক্রান্ত জার্নাল এন্ট্রি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্টিং মডিউলে পোস্ট করা।
৮. বাজেট ও পূর্বাভাস (Budgeting & Forecasting): বিস্তারিত বাজেট তৈরি ও ট্র্যাকিং। বাজেটের সাথে প্রকৃত খরচের তুলনা (Variance Analysis) করা। * ভবিষ্যতের আর্থিক পূর্বাভাস তৈরি করা।
৯. আর্থিক প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণ (Financial Reporting & Analysis): রিয়েল-টাইম ব্যালেন্স শীট (Balance Sheet), প্রফিট অ্যান্ড লস স্টেটমেন্ট (Profit & Loss Statement) এবং ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট (Cash Flow Statement) তৈরি করা। কাস্টমাইজড আর্থিক রিপোর্ট তৈরি করা যা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট প্রয়োজন পূরণ করে। * বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ করে ব্যবসার পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা।
১০. ট্যাক্স ও ভ্যাট ম্যানেজমেন্ট (Tax & VAT Management): স্থানীয় ট্যাক্স এবং ভ্যাট নিয়মাবলী অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে গণনা ও রিপোর্ট তৈরি করা। প্রয়োজনীয় রিটার্ন দাখিল করার জন্য ডেটা প্রস্তুত করা।
১১. অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও নিরীক্ষা (Internal Control & Audit Trails): প্রতিটি লেনদেনের জন্য বিস্তারিত অডিট ট্রেইল (Audit Trail) রাখা, যা নিরীক্ষার জন্য সহায়ক। ব্যবহারকারীর ভূমিকা ও অনুমোদনের উপর ভিত্তি করে ডেটা অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করা, যা ডেটা সুরক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে।
১২. বহু-মুদ্রা ও বহু-কোম্পানি ব্যবস্থাপনা (Multi-Currency & Multi-Company Management): যদি একাধিক দেশের বা মুদ্রায় ব্যবসা পরিচালিত হয়, তাহলে সেগুলোর অ্যাকাউন্টিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা। একাধিক কোম্পানির জন্য কনসোলিডেটেড আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করা।
ইআরপি-এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড কাস্টমাইজড অ্যাকাউন্টিং সেবা একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, নির্ভুলতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করে। এটি ব্যবস্থাপকদের দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে, যা সামগ্রিকভাবে ব্যবসার বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
Fully Customizable Industry Specific ERP software production of MAMTech Limited




অটোবিজ ইর্আরপি রিটেইল পিওএস (Point of Sale) সিস্টেম যা অফলাইন টিল ব্যবস্থাপনা, অনলাইন ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা এবং ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকাউন্টস - এই তিনটি মূল বৈশিষ্ট্যকে একত্রিত করে, তা একজন দোকানদারের জন্য অত্যন্ত কার্যকর এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করে তোলে।
এখানে এই সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য এবং একজন দোকানদারকে এটি কীভাবে সাহায্য করে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. অফলাইন টিল ব্যবস্থাপনা (Offline Till Management) এর বৈশিষ্ট্য:
ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া লেনদেন: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও বিক্রয়, রিটার্ন, রিফান্ড এবং অন্যান্য লেনদেন প্রক্রিয়া করতে পারা। ডেটা স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
স্বয়ংক্রিয় ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজেশন: ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে এলে, অফলাইনে করা সমস্ত লেনদেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেন্দ্রীয় সার্ভারে (অনলাইন সিস্টেম) সিঙ্ক্রোনাইজ হয়ে যায়। এতে ডেটা হারানোর ঝুঁকি থাকে না।
ক্যাশ ড্রয়ার ব্যবস্থাপনা: ক্যাশ ড্রয়ার খোলা এবং বন্ধ করার রেকর্ড রাখা, দিনের শেষে ক্যাশ মিলানো (Cash Reconciliation) এবং যেকোনো অসঙ্গতি চিহ্নিত করা।
রসিদ প্রিন্টিং: অফলাইনেও কাস্টমারদের জন্য রসিদ প্রিন্ট করার সুবিধা।
ব্যবহারকারীর অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ: কর্মীদের জন্য বিভিন্ন স্তরের অ্যাক্সেস সেট করা, যাতে ক্যাশিয়াররা শুধুমাত্র তাদের নির্দিষ্ট কাজগুলিই করতে পারে এবং সংবেদনশীল ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
সিস্টেম স্থিতিশীলতা: ইন্টারনেট না থাকলেও সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বজায় রাখা, যাতে গ্রাহকদের সেবা দিতে কোনো বাধা না হয়।
২. অনলাইন ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা (Online Inventory Management) এর বৈশিষ্ট্য:
রিয়েল-টাইম স্টক ট্র্যাকিং: প্রতিটি পণ্যের বর্তমান স্টক অনলাইনে দেখা যায়, যা একাধিক শাখা বা অনলাইন স্টোর থাকলেও নির্ভুল থাকে। বিক্রয় হওয়ার সাথে সাথে স্টক স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়।
কেন্দ্রীয়কৃত ইনভেন্টরি: সকল শাখা (যদি থাকে) এবং অনলাইন বিক্রয় চ্যানেলের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ইনভেন্টরি সিস্টেম থাকে, যা স্টক বিভ্রাট (Stock Discrepancy) এবং অতিরিক্ত বিক্রি (Overselling) রোধ করে।
স্বয়ংক্রিয় পুনঃঅর্ডার সতর্কতা: যখন কোনো পণ্যের স্টক একটি নির্দিষ্ট সর্বনিম্ন স্তরে (Minimum Stock Level) নেমে আসে, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সতর্কবার্তা আসে, যা পুনরায় অর্ডার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে।
ক্রয় আদেশ ব্যবস্থাপনা (Purchase Order Management): সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের আদেশ তৈরি, ট্র্যাক এবং ব্যবস্থাপনা।
পণ্য ব্যবস্থাপনা: নতুন পণ্য যুক্ত করা, পণ্যের বিবরণ, মূল্য, বারকোড, SKU (Stock Keeping Unit) ইত্যাদি আপডেট করা।
একাধিক ওয়্যারহাউস/স্টোর ব্যবস্থাপনা: যদি দোকানদারের একাধিক স্টোর বা গুদাম থাকে, তবে প্রতিটি স্থানের ইনভেন্টরি আলাদাভাবে ট্র্যাক ও ব্যবস্থাপনা করা যায়।
ইনভেন্টরি রিপোর্ট: স্টকের গতিবিধি, সেরা বিক্রেতা পণ্য, সবচেয়ে কম বিক্রেতা পণ্য, ডেড স্টক ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা।
৩. ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকাউন্টস (Integrated Accounts) এর বৈশিষ্ট্য:
স্বয়ংক্রিয় লেনদেন রেকর্ডিং: পিওএস সিস্টেমে করা প্রতিটি বিক্রয়, রিটার্ন বা রিফান্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্টিং মডিউলে রেকর্ড হয়ে যায়। ম্যানুয়াল এন্ট্রি করার প্রয়োজন হয় না।
বিক্রয় ও আয় ট্র্যাকিং: প্রতিদিনের, সাপ্তাহিক বা মাসিক বিক্রয় এবং আয়ের বিস্তারিত হিসাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়।
খরচ ব্যবস্থাপনা: বিভিন্ন প্রকারের খরচ রেকর্ড করা এবং ট্র্যাক করা।
গ্রাহক ও সরবরাহকারী অ্যাকাউন্ট: গ্রাহকদের বাকি টাকা (Accounts Receivable) এবং সরবরাহকারীদের পাওনা টাকা (Accounts Payable) স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবস্থাপনা করা।
ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট: লাভ-ক্ষতির হিসাব (Profit & Loss Statement), ব্যালেন্স শীট (Balance Sheet), ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট (Cash Flow Statement) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিবেদনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়।
ব্যাংক রিকনসিলিয়েশন: ব্যাংক স্টেটমেন্টের সাথে সিস্টেমের লেনদেনের হিসাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেলানো।
ট্যাক্স ও ভ্যাট হিসাব: বিক্রয় বা ক্রয়ের উপর ভিত্তি করে ট্যাক্স ও ভ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে গণনা করা।
অডিট ট্রেইল: প্রতিটি লেনদেনের বিস্তারিত রেকর্ড এবং কে কখন কী কাজ করেছে তার অডিট ট্রেইল থাকে, যা স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করে।
একজন দোকানদারকে এই সিস্টেম কিভাবে সাহায্য করে:
১. সময় ও শ্রম সাশ্রয়: ম্যানুয়াল ডেটা এন্ট্রি এবং হিসাব রাখার প্রয়োজন হয় না, যা প্রচুর সময় বাঁচায়। আর্থিক প্রতিবেদন এবং ইনভেন্টরি রিপোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়, ফলে সময় নষ্ট হয় না। * কর্মীরা বিক্রয়ে বেশি মনোযোগ দিতে পারে, কারণ হিসাবের ঝামেলা কমে যায়।
২. নির্ভুলতা বৃদ্ধি: স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার কারণে মানবিক ভুলের সম্ভাবনা কমে যায়। স্টক, বিক্রয় এবং আর্থিক ডেটা সবসময় নির্ভুল থাকে, যা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
৩. দক্ষ ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা: রিয়েল-টাইম স্টক তথ্যের কারণে পণ্যের স্টকআউট বা অতিরিক্ত স্টক হওয়ার ঝুঁকি কমে। কোন পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে বা কোন পণ্য জমে আছে তা সহজেই জানা যায়, যা সঠিক স্টক পরিকল্পনায় সহায়তা করে। * স্বয়ংক্রিয় রি-অর্ডার সিস্টেম সময়মতো পণ্য পুনরায় মজুত করতে সাহায্য করে।
৪. উন্নত গ্রাহক সেবা: দ্রুত লেনদেন প্রক্রিয়া এবং সঠিক বিলিংয়ের কারণে গ্রাহকদের জন্য অপেক্ষার সময় কমে। পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য (স্টক আছে কিনা) দ্রুত দেওয়া যায়। * রিটার্ন/রিফান্ড প্রক্রিয়া সহজ হয়।
৫. আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ও দৃশ্যমানতা: রিয়েল-টাইম আর্থিক তথ্যের কারণে দোকানদার যেকোনো সময় তার ব্যবসার লাভ-ক্ষতি, আয়-ব্যয় এবং নগদ প্রবাহ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পান। কোন খাতে কত খরচ হচ্ছে বা কোথা থেকে কত আয় আসছে তা সহজেই বোঝা যায়। * বাজেট তৈরি ও তা ট্র্যাক করা সহজ হয়।
৬. বিক্রয় বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ: কোন পণ্য বা কোন সময়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে, কোন ক্যাশিয়ার কেমন পারফর্ম করছে ইত্যাদি তথ্য রিপোর্ট আকারে পাওয়া যায়। এই ডেটা বিশ্লেষণ করে দোকানদার তার বিক্রয় কৌশল, মার্কেটিং পরিকল্পনা এবং পণ্য সংগ্রহ সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
৭. অফলাইন কার্যক্ষমতা: * ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে, যা বিশেষত বাংলাদেশে যেখানে ইন্টারনেট বিভ্রাট একটি সাধারণ সমস্যা, সেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে গ্রাহকদের সেবা প্রদানে কোনো বাধা হয় না।
৮. নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা: প্রতিটি লেনদেন রেকর্ড হয় এবং অডিট ট্রেইল থাকায় আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা বজায় থাকে। কর্মীদের দ্বারা ডেটা ম্যানিপুলেশনের ঝুঁকি কমে।
অটোবিজ ইর্আরপি একটি রিটেইল পিওএস সিস্টেম যা অফলাইন টিল, অনলাইন ইনভেন্টরি এবং ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকাউন্টিংকে একীভূত করে, তা একজন দোকানদারকে তার ব্যবসা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করতে, ডেটা নির্ভুল রাখতে, সময় বাঁচাতে, খরচ কমাতে এবং সামগ্রিকভাবে ব্যবসার লাভজনকতা বাড়াতে ব্যাপক সাহায্য করে।


মামটেক লিমিটেড একটি ইআরপি (ERP) সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে, যা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রক্রিয়াগুলোকে স্বয়ংক্রিয় করতে সাহায্য করে। এই সেবাগুলো সাধারণত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে তার রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
এখানে প্রধান কিছু সেবা উল্লেখ করা হলো:
পরামর্শ ও বিশ্লেষণ (Consulting & Analysis):
প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো বিশ্লেষণ করা এবং কোথায় ইআরপি সমাধান প্রয়োজন তা চিহ্নিত করা।
প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত ইআরপি মডিউল এবং ফিচার্স ডিজাইন করা।
কাস্টম ইআরপি ডেভেলপমেন্ট (Custom ERP Development):
প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পূর্ণ নতুন ইআরপি সফটওয়্যার তৈরি করা।
বিদ্যমান অফ-দ্যা-শেলফ ইআরপি সিস্টেমগুলোকে কাস্টমাইজ করা বা নির্দিষ্ট মডিউল যুক্ত করা।
ইআরপি মডিউল ডেভেলপমেন্ট (ERP Module Development): একটি সম্পূর্ণ ইআরপি সিস্টেমে বিভিন্ন মডিউল থাকে, যা একেকটি নির্দিষ্ট কাজ পরিচালনা করে। আমরা এই মডিউলগুলো তৈরি করে থাকি:
ফিনান্স ও অ্যাকাউন্টিং (Finance & Accounting): আর্থিক লেনদেন, বাজেট, নগদ প্রবাহ, একাউন্টস পেয়েবল, একাউন্টস রিসিভেবল, জেনারেল লেজার, ফিনানসিয়াল রিপোর্টিং ইত্যাদি।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা (Human Resources Management - HRM): কর্মী নিয়োগ, পে-রোল, উপস্থিতি, ছুটির ব্যবস্থাপনা, কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন ইত্যাদি।
উৎপাদন ব্যবস্থাপনা (Production Management): উৎপাদন পরিকল্পনা, উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ, মান নিয়ন্ত্রণ, ইনভেন্টরি অপ্টিমাইজেশন ইত্যাদি।
ইনভেন্টরি ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (Inventory & Supply Chain Management - SCM): পণ্যের স্টক, ক্রয় আদেশ, সরবরাহকারী ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিকস ও বিতরণ ইত্যাদি।
বিক্রয় ও বিপণন (Sales & Marketing): বিক্রয় পূর্বাভাস, গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা (CRM), অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, লিড জেনারেশন, মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ইত্যাদি।
প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট (Project Management): প্রজেক্ট পরিকল্পনা, টাস্ক অ্যাসাইনমেন্ট, টাইমলাইন ট্র্যাকিং, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (Customer Relationship Management - CRM): গ্রাহকের তথ্য, বিক্রয় ট্র্যাকিং, গ্রাহক সেবা ইত্যাদি।
সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন (System Integration):
ইআরপি সিস্টেমকে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য বিদ্যমান সফটওয়্যার বা সিস্টেমের (যেমন: ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, পস সিস্টেম) সাথে সংযুক্ত করা।
বিভিন্ন বিভাগের ডেটা একত্রিত করে একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস তৈরি করা।
ডেটা মাইগ্রেশন (Data Migration):
পুরোনো সিস্টেম থেকে নতুন ইআরপি সিস্টেমে ডেটা স্থানান্তরের কাজ।
বাস্তবায়ন (Implementation):
প্রতিষ্ঠানে ইআরপি সফটওয়্যার স্থাপন ও কনফিগার করা।
সিস্টেমটি মসৃণভাবে চালু করা নিশ্চিত করা।
প্রশিক্ষণ ও সহায়তা (Training & Support):
সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
সিস্টেম চালুর পর যেকোনো সমস্যা সমাধানে কারিগরি সহায়তা ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা প্রদান করা।
নিয়মিত আপডেট ও আপগ্রেড নিশ্চিত করা।
ক্লাউড ইআরপি ডেভেলপমেন্ট (Cloud ERP Development):
ক্লাউড-ভিত্তিক ইআরপি সমাধান তৈরি ও স্থাপন করা, যা যেকোনো স্থান থেকে অ্যাক্সেস করা যায়।
বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ও অ্যানালিটিক্স (Business Intelligence & Analytics):
ইআরপি ডেটা থেকে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট তৈরি করা এবং ব্যবসার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক বিশ্লেষণ প্রদান করা।
সংক্ষেপে, মামটেক লিমিটেড ইআরপি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনার ব্যবসার সমস্ত মূল কার্যক্রমকে একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি, স্থাপন এবং এর রক্ষণাবেক্ষণের সম্পূর্ণ পরিষেবা প্রদান করে থাকে।